Recent Posts

Breaking

Sunday, November 17, 2019

The Complete YouTube Guidelines

সফল ইউটিউবার হওয়ার মূলমন্ত্র

Tech Tube Avee

বর্ত
মান সময়ের ভিডিও মানেই যেন ইউটিউব। বর্ত
মানে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন যিনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বাট ইউটিউবে কোনোদিন কোনো ভিডিও দেখেন নি। শিক্ষা, বিনোদন, খেলা, রান্না থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরণের ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায়। তাছাড়া ইউটিউব যেমন শিক্ষা, বিনোদনের দিকে এগিয়ে রয়েছে তেমনিভাবে অর্থ উপার্জনেরও একটা জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউব। 
আপনার যদি ইউটিউবে একটি চ্যানেল থাকে, তাহলে আপনি ইচ্ছা করলে এইখানে স্বাধীনভাবে নিজের তৈরি ভিডিও প্রকাশ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সেই সাথে নিজের প্রতিভা প্রকাশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইউটিউব। যেমন আপনি ভাল গান গাইতে পারেন, তবলা বাঁজাতে পারেন, নাচতে পারেন ইত্যাদি। এক কথায় আপনি যাই পারেন না কেন! আপনি আপনার বাহ্যিক প্রতিভাকে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইউটিউবে প্রকাশ করতে পারেন। এতে আপনার পরিচিতি হবে এবং সেই সাথে ইউটিউব থেকে আপনি ইনকাম করে আপনার বেকারত্ব দূর করতে পারেন। শুধু তাই নয় আপনি ইচ্ছা করলে চাকরীর পাশাপাশিও ইউটিউবিং করতে পারেন।

আপনি যদি সফল ইউটিউবার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ৈসততা ও ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে। আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু সম্পূ স্বতন্ত্র হতে হবে। অর্থাৎ অন্যের কনটেন্ট কপি না করে নিজে যা জানেন তা ইউটিউবে প্রকাশ করতে হবে। পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার ফল ফাস্ট ক্লাস আশা করাটা বোকামো ছাড়া আর কিছু নয়। ঠিক তেমনিভাবে চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গেই হাজার হাজার ভিউ, সাস্ক্রাইবার হয়ে যাবে, হাজার হাজার টাকা আয় হবে, এটা ভাবা সম্পূর্ণ ভুল। এইরকমটা যারা ভাববে তারা লাইফে কোনোদিনেই সফল হতে পারবে না। সফলতার জন্য সময় ও শ্রম দিতে হবে। কথায় আছে যে,
“পরিশ্রস সৌভাগ্যের প্রসূতী”
তো বন্ধুরা চলুন এইবার মূল বিষয়ে ফিরে যাওয়া যাক।

চ্যানেল খোলা: ইউটিউবে চ্যানেল খোলার জন্য প্রথমেই আপনার কাছে একটা গুগল একাউন্ট থাকতে হবে। নচেৎ আপনি ইউটিউবের সদস্য হতে পারবেন না। 
এখন আপনাকে প্রথমেই ঠিক করতে হবে যে, আপনি কোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান। যেমন শিক্ষা, বিনোদন, প্রযুক্তি, রান্না, ইত্যাদি যেকোনো বিষয় নিয়ে আপনি েআপনি ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করতে পারেন। তবে যেকোনো একটা বিষয় নিয়ে নিয়ে চ্যানেল তৈরি করলে তা দর্শকের কাছে বেশি সামদৃত হয়। 

চ্যানেলর নাম: আপনার ভিডিওর বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার চ্যানেলের একটি স্বতন্ত্র নাম দিতে পারেন। সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার চ্যানেলের নামটি যেন সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র হয়। আপনি যদি আপনার চ্যানেলকে রেঙ্কিং টপে আনতে চান তাহলে আপনার চ্যানেলের নামটি অবশ্যই স্বতন্ত্র হতে হবে।

ইউটিউব থেকে আয়: ইউটিউবের মূলত করোক্ষ অথবা প্যাসিব আয়। ইউটিউবের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইউটিউব কর্তৃপক্ষের যা আয় হয় তার একটা অংশ ভিডিও নির্মাতা বা ক্রিয়েটরকে দেয়া হয়। এখানে এমন কোনো দলিল নেই যে, এক হাজার ভিউ হলে এক ডলার আয় হবে। ইউটিউবে চ্যানেল ওপেন করার সাথে সাথেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। যাদের এই ধরণের মনোভাব আছে তারা এখনি ইউটিউব ফ্যামিলি থেকে বিদায় নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেতে পারেন। কেননা শশুড় বাড়িতে থাকতে হলে হলে কাজ করতে হবেই।
যাই হোক যা বলছিলাম, ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। আপনার চ্যানেলটিতে গত ১২ মাসে কমপক্ষে এক হাজার সাবস্ক্রাইব এবং চার হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকলে আপনি মনিটািইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে এছাড়াও যদি আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বেশি থাকে এবং ভিউস বেশি থাকে তবে আপনি স্পন্সার পেতে পারেন। অর্থ াৎ বিভিন্ন পণ্যের মার্কেটিং এর জন্য বড় বড় কোম্পানী আপনার চ্যানেলকে সিলেক্ট করতে পারে। এতে আপনি মনিটাইজেশন ছাড়াও এক্সট্রা ইনকাম করতে পারেন।

ভিউ বাড়ান: কিভাবে আপনার ভিডিওর ভিউ বাড়াতে পারেন? প্রথমেই আপনার ভিডিওর জন্য ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটা আকষর্ণীয় শিরোনাম বাচাই করতে হবে। এমন একটা শিরোনাম, যে শিরোনামটি গুগলে একাধিকবার পটিত হয়েছে। কিন্ত ইউটিউবে পাওয়া যাবে না। তারপর আপনাকে আপনার ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটি আকর্ষণীয় থাম্বেনাইল বাচাই করতে হবে। থাম্বেনাইলটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন কেউ দেখা মাত্র আপনার ভিডিওটিতে ক্লিক করে। ভিডিও আপলোড করার সময় ভিডিও প্লে লিস্ট তৈরি করুন এবং আপনার ডেসক্রিপশন বক্সটি সঠিকভাবে ফিলাপ করুন। প্লে-লিস্ট তৈরি করলে ভিডিও তাড়াতাড়ি টপে চলে আসে। ভিডিও আপলোড শেষে হয়ে গেলে ভিডিওটি বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করুন। বিশ্বের কিছু জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম যেমন, ফেইসবুক, টুইটার, ইন্স্ট্রাগ্রাম মাধ্যমগুলা থেকে আপনার ভিডিওর জন্য ভাল ট্রাফিক আনতে পারেন।
সতর্কতা: আপনাকে অবশ্যই ইউটিউব কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইর মানতে হবে। তা না হলে আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনকি আপনার চ্যালেনটিও আলিমুল গায়েব অর্থাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধানে কাজ করতে হবে। ইউটিউব তার কমিউনিটি গাইডলাইন প্রতিনিয়ত আপডেট করছে এবং সাথে সাথে তা আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইউটিবের মূলত তিনটি কপিরাইট ও কমিউনিটি গাইডলাইন নিয়ম থাকে। এক্ষেত্রে ইউটিউবের কোনো আইন ভঙ্গ করেন তাহলে আপনাকে পর পর তিনবার সতর্ক করা হবে তাতে আপনি যদি মনে করেন যে ইউটিুব আপনাকে বিনা দোষেই বার বার স্ট্রাইক দিচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনি আপিল করতে পারেন। কিন্তু আপিল করার পরও যদি ইউটিউব মনে করে যে আপনি তাদের আইন বার বার ভঙ্গ করছেন, তাহলে আপনার চ্যানেলকে ইউটিউব স্থায়ী বরখাস্ত করবে। So becarefull

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন ও সাজাবেন:
শুরু করার আগে একটা কথা বলে রখি ইউটিউব চ্যানেল সাধারণত দুই ধরণের হয়। একটা মাদার চ্যানেল। এবং এই মাদার চ্যানেলের আন্ডারে আরও ৪৯৯ টা ব্যান্ড চ্যানেল খুলতে পারবেন। তবে সেটা মাদার চ্যানেল জীবত থাকা অবস্থায়। অর্থাৎ আপনার মাদার চ্যানেল যতক্ষণ না ইউটিউব থেকে সাসপেন হয়।
  • youtube.com এ যান। ডান পাশের সাইন ইন ক্লিক করে গুগল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করুন।
  • উপরে ডান পাশে চ্যানেল আইকনে ক্লিক করে নিচে সেটিংস যান।
  • তারপর create a channel এ গিয়ে আপনার পছন্দমতো একটা স্তন্ত্র নাম দিয়ে চ্যানেলটি তৈরি করুন।
  • তারপর Channel Customize এ গিয়ে চ্যানেল মনমতো সাজান।
  • এই পর্বে উপরে ডান পাশ থেকে ক্যামেরা আইকনে গিয়ে ভিডিও আপলোড করুন।
চ্যানেল তৈরি করা থেকে শুরু করে ভিডিও আপলোডের বিস্তারিত জানতে নিচের GO BUTTON এ ক্লিক করুন।

No comments:

Post a Comment